যেভাবে দখল হয়েছিল আল-আরাফাহ ব্যাংক
২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি। পরীবাগের বাসায় ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান। ভোরের দিকে হঠাৎ করেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। জানান, তাঁকে তাঁদের সঙ্গে যেতে হবে। তবে আবদুল মান্নান একাই নন। একইভাবে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকেও। স্বৈরাচার হাসিনার রাষ্ট্রীয় মদদে এরপর তাঁদের জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়, আর ব্যাংকটি দখল করে নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রপ।
এস আলম ২০১৭ সালে এভাবে ইসলামী ব্যাংক দখল করলেও স্বৈরাচার হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই আরও ভয়াবহ কায়দায় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট শেখ পরিবারের ঘনিষ্ট সাবেক চেয়্যারম্যান আনোয়ার হোসেন, এস অলম এবং কেডিএস গ্রæপ যৌথভাবে ব্যাংকের অনেক পুরাতন এবং সৎ-পরিক্ষীত পরিচালকদের জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়। অথচ ১৯৯৫ সালে সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার এজেড এম শামসুল আলম (সিএসপি-১৯৬৩) তাঁর কিছু বিশ্বস্ত সহযোগী নিয়ে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল- সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে উৎপাদনমূখি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করা, ব্যবসা- বাণিজ্যে সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সংস্কৃতি সৃষ্টি করা, বিভিন্ন সেবাধর্মী ও জনকল্যাণমূখি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ জেড এম শামসুল আলমের তত্ত¡াবধানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সকল বিধি-বিধান পরিপালন ও শরীয়া’র অনুশাসন মান্য করে ব্যাংকটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটিতে বিপর্যয় নামতে শুরু করে। এ সময়ে পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মো. আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার হোসেনকে ২০০৮ সালে ইসলামী ব্যাংক এর ঋণ খেলাপির কারণে, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ থেকে তাকে অপসারণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ব্যাংক লুটেরা এস আলম গ্রপ ও কেডিএস গ্রপের সঙ্গে মিশে যান। যার ফলে, গ্রপদ্বয়ের ষড়যন্ত্র, ব্যাংক লুটপাটের লালসা ও অমানবিক আচরণের কাছে এজেড এম শামসুল আলম পরাজিত হন। ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য করেন। এরপর, পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সর্বোচ্চ মহলের মদদে এস আলম ও কেডিএস গ্রপ ২০০৯ সালে ব্যাংকটি পুরোপরি তাদের দখলে নেয়। চট্টগ্রাম বাড়ি নয় এমন ৯ জন উদ্যোক্তা পরিচালককে ব্যাংকটি ছাড়তে বাধ্য করে। অপরদিকে, উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার আব্দুল হাদী ও মো. এজাহার মিয়া- এর সকল শেয়ার খলিলুর রহমান জালিয়াতির (স্বাক্ষর জাল ও স্বাক্ষরের পরিবর্তে ভ‚য়া টিপ সহি প্রদান) মাধ্যমে দখল করেন যা ফৌজদারী অপরাধ। এ সব শেয়ারের বর্তমান ধারক হচ্ছেন সেলিম রহমান ও আহমেদুল হক। তারা খলিলুর রহমানের যথাক্রমে পুত্র এবং সহোদর। এভাবে নানাবিধ অপকৌশল ও দুর্নীতির মাধ্যমে এস আলম গ্রপ ও কেডিএস গ্রপ ব্যাংকের মোট শেয়ারের (২৩ দশমিক ৭৫ ও ১৩ দশমিক ৫০)= ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কুক্ষিগত করে।
ব্যাংকটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে সবার সম্মতিতে বদিউর রহমানকে পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৮-২০১৬ পর্যন্ত কেডিএস গ্রপও এস আলম গ্রপ উভয়েই বদিউর রহমানকে বাগে আনতে না পারায় তাকে জোরপূর্বক অপসারণ করেন। তিনি কেডিএস গ্রপের কর্ণধার খলিলুর রহমানের ছোটভাই আহমেদুল হক- এর সৌমন্ধি। এরপর থেকে গত ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পালাক্রমে ছিলেন আব্দুস সামাদ লাবু (এস আলমের ভাই) ও সেলিম রহমান (খলিলুর রহমানের ছেলে)। পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, অন্যান্য কমিটির চেয়ারম্যান পদে এবং সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদে এস আলম গ্রপ ও কেডিএস গ্রপের বাইরে কাউকে জায়গা দেওয়া হয়নি। এমনকি ২০ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের উক্ত গ্রæপদ্বয়ের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জন।
স্বৈরাচার হাসিনার মদদে ২০০৯ সাল হতে ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রæপদ্বয় ব্যাংকটি পুরাপুরি দখলে রেখে সীমাহীন অনিয়ম, অনাচার, দুর্নীতি ও লুটপাট করে ব্যাংকটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ সময় জনগণের গচ্ছিত টাকা লুটপাট করেছে, দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও সৃষ্টির পরিবর্তে তারা অর্থের বিনিময়ে ঢালাওভাবে অযোগ্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছে, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অযোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া ও দুর্নীতির দোসরদের অবৈধ আর্থিক সুবিধা দিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনায় চরম অব্যবস্থাপনা করেছে, অর্থের বিনিময়ে চাকুরী পাওয়ায় এবং উক্ত গ্রপদ্বয়ের প্রশ্রয়ে থাকায় এসব কর্মীদের উপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছিলো না। এ সময় প্রায় ৪ শতাধিক কর্মকর্তা ভুয়া/জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাংকটিতে চাকরি করেছেন। এতে ব্যাংকটিতে দাপ্তরিক শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও চেইন অব কমান্ড মুখ থুবড়ে পড়ে। অপরদিকে নামসর্বস্ব, ভ‚য়া ও ব্যাংক ঋণ পাওয়ার অযোগ্য প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির অনুক‚লে বড় বড় অঙ্কের ঋণ প্রদান করে অধিকাংশই নিজেরা আত্মসাত করেছেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় গ্রপ দুটি নামে-বেনামে, নিজ অফিসের কর্মচারী এমনকি বাসার কাজের লোকের নামেও ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করেছে। শুধু ঋণ জালিয়াতিই নয়; করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি’র (সিএসআর) টাকা বিভিন্নভাবে লুটপাট করেছে।
উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যাংকের প্রকৃত শ্রেণীবিন্যাসিত বিনিয়োগের তথ্য চাপা দিয়ে রেখেছে (বিশেষ করে লুটপাট করা বিনিয়োগ হিসাবসমূহের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে)। একই সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিবর্গের নিকট ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ পাওনা অবলোপন (রাইট অফ) করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া সাবসিডিয়ারী কোম্পানী আল আরাফাহ খ্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি.-কে লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, কোম্পানীর দুই চেয়ারম্যান বদিউর রহমান ও খলিলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রেজাউর রহমান ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। অবশ্য লুটপাট বা দুর্নীতিই তাদের মুখ্য পেশা নয়; খলিলুর রহমানের অপর এক পুত্র ইয়াসিন রহমান ওরফে টিটু নামে এক ব্যক্তির খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন।
এদিকে ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন বোর্ড আগের অনিয়মের ব্যবস্থা না নিয়ে তারাও জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়মে। পছন্দের বাইরের কোনো গ্রাহক বিনিয়োগ পুন:তফশীলের কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না, অর্থ বছরের এক তৃতীয়াংশ সময় অতিবাহিত হতে চললেও এখনও তারা ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ন বজেটটি পাশ করতে পারেননি। এস আলম ও কেডিএস গ্রপের নিয়োগ দেয়া দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউ’র তদন্ত প্রতিবেদনে নানা ধরণের অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী ও সাবেক পরিচালক বলেছেন, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনুমোদন দেয়া যেসব বিনিয়োগ শ্রেণীবিন্যাসিত হয়েছে, যেসব বিনিয়োগের দায় রাইট অফ করা হয়েছে, ব্যবস্থাপনার অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব অবৈধ কর্মকান্ড সংঘঠিত হয়েছে, এস আলম গ্রপ ও কেডিএস গ্রæপ নিজে এবং তাদের সমর্থন ও সহযোগিতাকারী পরিষদ সদস্যরা ব্যাংক থেকে যে লুটপাট করেছে- সেসব বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত করে প্রকৃত চিত্র উম্মোচন ও দায় দায়িত্ব নিরূপন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ব্যাংকের স্বার্থেই প্রয়োজন। একই সঙ্গে জড়িত ও দায়ী ব্যক্তিদের ধারণকৃত ব্যাংকের শেয়ার বাজেয়াপ্ত ও বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে লুটপাট করা অর্থের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের কেউ যেন ব্যাংকের পরিষদ কিংবা ব্যবস্থাপনায় আর যুক্ত হতে না পারে, তার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই সঙ্গে বর্তমানে যারা পরিচালনা পরিষদে আছেন তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। ইতোমধ্যে বর্তমান পরিচালকরা নিজস্ব জনবল নিয়োগ, অনিয়ম-লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছেন তাই দ্রত ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরেরও কথা বলেন তিনি। অন্যথায় ব্যাংকটি আগামী দিনে আরও মুখ থুবড়ে পড়বে।
ব্যাংকটির সাবেক আরও একজন পরিচালক বলেন, দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ও ব্যাংক লুটেরা এস আলম ও কেডিএস গ্রপ থেকে ব্যাংক রক্ষার্থে নতুন বোর্ড গঠন করলেও নতুন বোর্ড সদস্যদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সামর্থ্য নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে ইতোমধ্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছেন। তাই দ্রত ব্যাংকের মূল মালিকদের হাতে ব্যাংক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আহবান জানান।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালো বার্সা

নোয়াখালীর বিপণী-বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় হলেও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

কোচ ছাঁটাই করল লাইপজিগ

কলাপাড়ায় ঈদের চাঁদ উৎসব

পেকুয়ায় জামায়াতের শিক্ষা বৈঠকে রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যের আহ্বান

আওয়ামী লীগ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তার কোনো ক্ষমা নেই: খোকন

যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার বাহিনীর ১০ জন গ্রেফতার, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

শেষ মুর্হুতের কেনাকাটায় সিলেট নগরীর রাজপথ থেকে শপিংমলে ক্রেতারা

জাতীয় ঈদগাহে আসবেন না প্রেসিডেন্ট, ঈদের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে

৩৯২টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সিলেট মহানগরীতে, প্রধান জামাত শাহী ঈদগাহ ময়দানে

শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায় জামায়াত আমীর

ডিএসই, সিএসই এবং পিএসএক্স’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

সিলেটে চা বাগানের ভেতরে ৩ ট্রাক ভর্তি ৪৬৭ বস্তা ভারতীয় চিনি রেখে পালালো চালক

অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে: রিজভী

অসৎ ব্যবসার অহংকার সিলেটের হরিপুরের সেই "বুঙ্গার বাজার" গুড়িয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী

লন্ডনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ-র নিরাপত্তায় ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশী বন্দুক উদ্ধার

আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই : ধর্ম উপদেষ্টা